রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র গরমে চুয়াডাঙ্গাবাসীর হাঁসফাঁস অবস্থা। গত রোববার থেকে মঙ্গলবার টানা তিনদিন জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টা পর্যন্তও এ জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। গত তিনদিনে তা মৃদু তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। মাঝে দু-এক দিন সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও এখন অস্বস্তিকর গরম দেখা গিয়েছে। প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে চুয়াডাঙ্গাবাসীর।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। বুধবার বিকেল ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার (২ এপ্রিল) ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এই তিনদিনই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।
এদিকে, টানা এক সপ্তাহের তীব্র তাপমাত্রায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অসহ্য গরমে বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। তীব্র রোদের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালকরা কাজ করতে পারছেন না। ফলে অনেককে অলস সময়ও পার করতে দেখা গেছে। তাপপ্রবাহে রোজাদারদের কষ্টও বেড়েছে। তীব্র গরমে বয়স্ক ও শিশুরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে।
জেলা শহরের ভ্যানচালক মাসুম মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে যাত্রী কম পাচ্ছি। আর রোজার কারণে সন্ধ্যা ও রাতেও তেমন ভাড়া মিলছে না। দিনে গরম আর রাতে যাত্রী নেই। সংসার চালানোই দায়।
চুয়াডাঙ্গা শহরের শান্তিপাড়ার বাসিন্দা গৃহবধূ নিঝুম বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়েছে। বাচ্চা নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। ঘরের মধ্যে গরমে থাকা যায় না। আমার সন্তান গত তিনদিন থেকে জ্বর-সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। জানি না কবে বৃষ্টির দেখা মিলবে।
উপজেলার মোমিনপুর এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী আকরাম আলী বলেন, কয়েকদিন ধরে যে তাপ পড়ছে তাতে দোকানে বসার অবস্থা নেই। চলছে রোজা, এর মধ্যে আবার এমন গরমে বেচাবিক্রি কীভাবে হবে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, তিনদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। টানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দিনের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। জেলাজুড়ে গত এক সপ্তাহ ধরে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।